গাংনী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
- আপডেট সময় : ০১:৪২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১০২ বার পড়া হয়েছে
মেহেরপুরের গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব। এক সময় শীত মৌসুমে গ্রাম কিংবা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পিঠাপুলি তৈরি ও অতিথিদের খাওয়ানো হতো। জীবন মানের পরিবর্তনের সাথে সাথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য এই পিঠা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই নতুন করে আবারো তরুণ প্রজন্মের কাছে পরিচিতি করতে গাংনী সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় দিনব্যাপী এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। পিয়াসা, পাটি সাপটা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, জামাই পিঠা ও করোনা পিঠাসহ ১৫ টি স্টলে প্রায় ৩০০ ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন ও বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ডা.এ,এস,এম নাজমুল হক সাগর।
গাংনী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুজামান লালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম শফিকুল আলম, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, গাংনী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাদ রাজা প্রমুখ।
পিঠা উৎসব পরিচিতি সম্পর্কে বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা জানান, অনেক পিঠার সাথেই আমাদের পরিচয় হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক পিঠার নাম জানা থাকলেও স্বাদ মনে নেই। আজকের এই পিঠা উৎসবে অনেক পিঠা খেয়ে ছোট বেলার অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে যাচ্ছে। ছাত্রীরা আরো বলেন এভাবে শীতভর পিঠা উৎসব হোক গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ডা.নাজমুল হক সাগর বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি প্রতিটি বিদ্যালয়ে এ ধরনের বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা উচিত। এতে একদিকে যেমন বিভিন্ন ধরনের পিঠার সাথে তাদের পরিচয় ঘটবে অন্যদিকে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য সর্ম্পকে তারা জানবে।