ঢাকা ০১:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেহেরপুরে’র গাংনী’তে প্রসূতি রােগী’র মৃত্যু’র ঘটনায় হাসপাতালে’র মালিকের জেল

নিউজ ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪ ১৪৯ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুরের গাংনীতে হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভূল চিকিৎসায় পান্না খাতুন (২২) নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে সদ্য ভূমিষ্ট তার সন্তানটি জীবিত রয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালানাে হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হাসপাতালের মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজকে (৪৭) ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে। দন্ডিত হাফিজুর গাংনী উপজেলা শহরের থানাপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।

সােমবার বিকেল ৪ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বসিয়ে জেল ও জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী অফিসার ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মহিউদ্দীন ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রাণী।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট প্রীতম সাহা জানান, গাংনী উপজেলা শহরের হাসপাতাল বাজারে অবস্থিত হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপজেলার দেবীপুর গ্রামের সেলিম হােসেনের স্ত্রী পান্না খাতুনকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করাতে আসে পরিবারের সদস্য। গত রবিবার সকালের দিকে ওই হাসপাতালে রােগীর অপারেশন করেন ডাক্তার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইমরান। অপারেশনে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলেও প্রসূতি মা মুমূর্ষু হয়ে পড়ে। পরের রাউন্ডে আসা চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান রিংকু তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যান পান্না ।
এদিকে,রােগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজ পালিয়ে যায়। এঘটনার পর প্রশাসরের পক্ষ থেকে ওই হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

হাসপাতালে সিজারিয়ানের সরঞ্জামাদি ছাড়াই রােগীর অপারেশনের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাসপাতালের মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজ তার দােষ স্বীকার করায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মেহেরপুরে’র গাংনী’তে প্রসূতি রােগী’র মৃত্যু’র ঘটনায় হাসপাতালে’র মালিকের জেল

আপডেট সময় : ০৫:২০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ মার্চ ২০২৪

মেহেরপুরের গাংনীতে হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভূল চিকিৎসায় পান্না খাতুন (২২) নামের এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে সদ্য ভূমিষ্ট তার সন্তানটি জীবিত রয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালানাে হয়েছে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে হাসপাতালের মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজকে (৪৭) ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সাথে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়েছে। দন্ডিত হাফিজুর গাংনী উপজেলা শহরের থানাপাড়ার মৃত বজলুর রহমানের ছেলে।

সােমবার বিকেল ৪ টার দিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বসিয়ে জেল ও জরিমানা করা হয়।
আদালত পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী অফিসার ও গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডাক্তার মহিউদ্দীন ও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুপ্রভা রাণী।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট প্রীতম সাহা জানান, গাংনী উপজেলা শহরের হাসপাতাল বাজারে অবস্থিত হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপজেলার দেবীপুর গ্রামের সেলিম হােসেনের স্ত্রী পান্না খাতুনকে সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করাতে আসে পরিবারের সদস্য। গত রবিবার সকালের দিকে ওই হাসপাতালে রােগীর অপারেশন করেন ডাক্তার আবু সালেহ মোহাম্মদ ইমরান। অপারেশনে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করলেও প্রসূতি মা মুমূর্ষু হয়ে পড়ে। পরের রাউন্ডে আসা চিকিৎসক মাহবুবুর রহমান রিংকু তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যান পান্না ।
এদিকে,রােগীর মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসিনা প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজ পালিয়ে যায়। এঘটনার পর প্রশাসরের পক্ষ থেকে ওই হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

হাসপাতালে সিজারিয়ানের সরঞ্জামাদি ছাড়াই রােগীর অপারেশনের সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাসপাতালের মালিক হাফিজুর রহমান হাফিজ তার দােষ স্বীকার করায় ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।